মালয়েশিয়া থেকে সংগ্রহ করে ভ্যাপ ও ইসিগারেটের মাধ্যমে দেশে ভয়ঙ্কর মাদক এমডিএমবি বিক্রি করছিলো একটি চক্র, যাদের গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) অধিদপ্তর জানায়, চক্রটির মূলহোতাসহ সকল সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন ফ্লেভারযুক্ত উচ্চ মাত্রার সিনথেটিক হওয়ায় মাদকটির ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী।
অনেকেই নিকোটিনের আসক্তি কমাতে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবন করেন। তবে এরসঙ্গে মেশানো থাকতে পারে ভয়ংকর মাদক এমডিএমবি। দেশে প্রথমবারের মতো যার সন্ধান পেয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এটি এতটাই ভয়ংকর যে, কয়েক ফোঁটাতেই স্নায়ুতন্ত্রে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। এমনকি অবশ হয়েও যেতে পারে। সেবনকারী আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, হার্টের সমস্যা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ জানান, মালয়েশিয়া থেকে আসা এই মাদক ই-সিগারেটের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করছিলো একটি চক্র। মূলহোতাসহ এই চক্রের চার সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, চক্রটি ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই কারবার চালায়। শয়তানের নিশ্বাসের চেয়েও ভয়ংকর এই নতুন মাদক এমডিএমবি।
এমডিএমবি’র ভয়াবহতা বিবেচনায় একে ‘খ’ থেকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত করা হবে বলেও জানায় অধিদপ্তর।
