সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি আগামী ১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারির আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিজিটাল লটারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফলাফল জানতে পারবেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের দেয়া লিংকে প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া মাউশির ফেসবুক পেজেও লটারির প্রক্রিয়া সরাসরি দেখানো হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ডাউনলোড করা ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ই-মেইলে পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে জানাবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটি সভা ডেকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে ব্যবস্থা নেবে।
মাউশি সূত্র জানায়, গত ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায়। এ সময়ের মধ্যে সফলভাবে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে।
মাউশির তথ্যমতে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ৪ হাজার ৪৮টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবার সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৬৮৮টি এবং বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা তিন হাজার ৩৬০টি। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে শূন্য আসন এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি এবং বেসরকারি স্কুলে আসন ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি।
এদিকে, সরকারি স্কুলে শূন্য আসন এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করেছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। ফলে সরকারি স্কুলে প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ছয়টি।
আর বেসরকারি স্কুলে শূন্য ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেলেও ৭ লাথ ৩৬ হাজার ৫৫টি আসন শূন্যই থাকবে।
