জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩৯টি কেন্দ্রে ১৭৮টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার বিকালে কেন্দ্র ও বুথের তালিকা প্রকাশ করে কমিশন।
কমিশন সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে। ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন-কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচন কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার:
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আনসার, র্যাব সদস্যদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
হাতে ভোট গণনা চায় ছাত্রদল:
ডিজিটাল কারচুপি রোধে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। তাদের দাবিগুলো হলো-স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের সামনে প্রার্থীর এজেন্টের উপস্থিতিতে হাতে ভোট গণনা নিশ্চিত করা; ভোট গণনার পর পরই প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল সেই কেন্দ্রেই তাৎক্ষণিকভাবে ঘোষণা করা এবং প্রিজাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি এজেন্টদের প্রদান করা; ভোটকেন্দ্রে কয়টা ব্যালট নষ্ট ও ব্যবহৃত হয়েছে এবং অব্যবহৃত ব্যালটের হিসাব দিতে হবে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ শিবিরের:
ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা ও এজিএস প্রার্থী বিএম আতিকুর রহমান তানজিলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির। কমিশনের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী টাকা এবং এজিএস প্রার্থী উপঢৌকন হিসাবে চকলেট বিতরণ করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা স্বীকারও করেছেন। অথচ, কমিশনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কমিশনের কাছে জোর দাবি জানান তারা।
