অলাভজনক ব্যতিক্রমধর্মী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর ৮৪তম জন্মবার্ষিকীতে সশ্রদ্ধ স্মরণের লক্ষ্যে 'এই পৃথিবী একবার পায় তারে' প্রতিপাদ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার এনামুল হক এবং ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া আহমেদ তন্বীর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। বক্তারা ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর জীবন, আদর্শ এবং কর্মক্ষেত্রে তার অবদান সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, 'জাফরুল্লাহ্ স্যার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তবে তার স্বপ্ন আমাদের মাঝে ব্যাপ্ত আছে৷ তার স্বপ্ন নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।'
সংশপ্তকের অন্তর্ভুক্তিমূলক চিন্তাধারর কথা স্মৃতিচারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চের প্রধাণ ডা. মো. তারিকুল ইসলাম বলেন,‘তিনি যা শিখেছেন তা কাজ করতে করতেই শিখেছেন৷ যখন কেউ এগুলো চিন্তাও করেনি সেখান থেকেই তার কাজের শুরু। উনি প্রতিটি অপ্রতিষ্ঠিত বিষয়কে নিয়েই কাজ শুরু করেছেন যা পরবর্তীতে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। তিনি সকলকে নিয়ে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক চিন্তা ধারণ করতেন।'
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, 'ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিভিন্ন ভাবেই বিশেষায়িত করার সুযোগ আছে। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সমাজসেবক, দেশপ্রেমিক, শিক্ষানুরাগী। উনার প্রতিভা-জ্ঞান ছিলো বহুমুখী ও পরিধি ছিল অপরিসীম। তিনি বাস্তবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। যার ফলেই এই বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ-হাসপাতাল।'
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাষাবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক আবুল মনসুর মুহম্মদ আবু মুসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ ও গরীবের ডাক্তার হিসেবে খ্যাত ডাক্তার জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী কোয়েপাড়া গ্রামে ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মাসে।
কাউকে না পেলে ‘তাহাজ্জুদ’পড়ুন, আল্লাহকে পেয়ে যাবেন