ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বেরোবি’র ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা 

আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই সরব ছিল রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। ১৬ই জুলাই পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা শিক্ষক কর্মকর্তারা নিজেদের দায়মুক্ত করার জন্য একে একে পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য হওয়ায় তৈরি হয়েছে জটিলতা। 

সেই কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্ট  ও সহকারী প্রভোস্ট দায়িত্বে না থাকায় তৈরি হয়েছে জটিলতা। আবাসিক হলগুলো খোলা থাকলেও ডাইনিং দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের নিহতের ঘটনায় রংপুরসহ সারাদেশ উত্তাল হয়ে উঠলে ওই দিন রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফের ১৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাতেই হলের তালা ভেঙে থাকতে শুরু করেন আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরা। 

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অলক চাকমা বলেন, হলে আমরা শুরু থেকেই থাকছি। প্রায় অধিকাংশ আবাসিক বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে চলে এসেছি। দ্রুত ডাইনিং খোলা হোক, একজন শিক্ষার্থী হিসাবে বাইরে খাবার খরচ বেশি হয়ে যায়। আমরা আশা রাখব ডাইনিংয়ের খাবারের মান ভালো হবে এবং দ্রুত ডাইনিং খোলা হবে। ডাইনিং চালু হলে আমাদের পড়াশোনার ওপর বাহ্যিক চাপ মুক্ত থাকব। হলে থেকে হলের খাবার খেতে পারলে খরচ ও সময় দুটিই বেঁচে যাবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাকারিয়া বলেন, ডাইনিং বন্ধ থাকার কারণে আমাদের বাইরে খেতে হয়। ক্যাম্পাসে কোনো দোকান ও খাবার হোটেল নেই। আবার বন্ধ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। যার ফলে নাস্তা বা যেকোনো খাবার পার্কের মোড় গিয়ে খেতে হয়। আমরা চাই দ্রুত ডাইনিং ও ক্যাফেটেরিয়া চালু করা হোক।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, গত ৫ তারিখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছেন। ক্যাম্পাস মুখরিত। এমতাবস্থায় ক্যাফেটেরিয়া খোলা না থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে রয়েছেন। বাইরের হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের জন্য ব্যয়বহুল। ক্যাফেতে শিক্ষার্থীবান্ধব খাবার পাওয়া যায়।

শহীদ মুখতার ইলাহী হলের ঠিকাদার জুয়েল মিয়া বলেন, আমি ডাইনিং চালু করতে চাই, কিন্তু প্রভোস্ট নেই। কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চালু করব।

ক্যাফেটেরিয়ার এক কর্মচারী বলেন, ক্যাফেটেরিয়া কবে খুলবে ঠিক নেই। যেহেতু পরিচালকসহ প্রশাসনের কেউ নেই, তাই ক্যাফেটেরিয়া খুলছে না।

AHA
আরও পড়ুন