ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বাংলাদেশ-ভারতের মেয়েরা যেখানে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে

আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম

বাংলাদেশের নারীরা একটা সময় লেখাপড়ায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ বিভিন্ন কারণেই তারা পিছিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজেদের ঘরে আবদ্ধ না রেখে লেখাপড়া করাসহ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আসতে থাকেন তারা। বর্তমানে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। 

বর্তমানে বাংলাদেশের মেয়েরা শিক্ষা-দীক্ষায় অনেকটাই ভালো করছেন। তারা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। গত ১৫ বছর ধরে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারের দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মেয়েরা। এই ক্ষেত্রে ছেলেদের সাথে লড়াই করে সমানতালে এগিয়ে রয়েছেন ভারতের মেয়েরাও।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮। গতবার এই হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪। এ বছর পাসের হার কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ।

পাসের হার কমলেও মেয়েরা তাদের স্থান হারাননি। মেয়েদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ছেলেদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। চলতি বছর নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জিপিএ-৫ অর্জনেও এগিয়ে আছেন মেয়েরা।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন।

এদিকে ভারতের শিক্ষার্থীরা ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন পরীক্ষায় অনেকটাই ভালো করেছেন। গত বছরের তুলনায় ২০২৪ সালের ছেলে মেয়ে উভয়ই ভালো করেছেন। তবে এই ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন দেশটির মেয়েরা। হিন্দুস্তানের টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩.৬ শতাংশ। ২০২৩ সালে পাসের হার ছিল ৯০ শতাংশের মতো। ২০২৪ সালে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ৬.৪ শতাংশ নম্বর বেশি পেয়েছে।

২০২৪ সালে দশম শ্রেণীতে মেয়েদের সামগ্রিক পাসের হার ছিল ৯৪.৭৫ শতাংশ। আর ছেলেদের পাসের হার ছিল ৯২.৭১ শতাংশ। দ্বাদশ শ্রেণীতে পার্থক্যটি আরো বড়। মেয়েদের সামগ্রিক পাসের হার ছিল ৯১.৫২ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ছিল ৮৫.১২ শতাংশ। দ্বাদশ শ্রেণীতে ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থীদের পাসের হার ছিল ৫০ শতাংশ। আর দশম শ্রেণীতে পাসের হার ৯১.৩ শতাংশ।

WA
আরও পড়ুন