রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভোট শেষে নয়টি ভোটকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাও ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে। ভোট গণনার সময় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের ভেতরেও ক্যামেরা থাকবে যাতে বাইরের সবাই বুঝতে পারে ভেতরে কী ঘটছে। বাইরের মানুষের দেখার জন্য বড় এলইডি স্ক্রিন বসানো হবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে আমরা দেখতে পেয়েছি ভোট গ্রহণের থেকে ভোট গণনার সময় বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমরা প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রের প্রবেশ-বাহির হওয়ার গেইটে ক্যামেরা বসাব। বিএনসিসি-রোভার স্কাউটসসহ মোট ১৫০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও থাকবে। কাউকে যদি তাৎক্ষণিক শাস্তির আওতায় আনার দরকার হয় সেজন্য ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
নির্বাচনি আচরণবিধি বিষয়ে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আচরণবিধি মনিটরিং করছি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে। কিছু প্রার্থী তাদের বন্ধুদের নিয়ে চা খাওয়াচ্ছে—এগুলো মিডিয়ায় আসার কথা না, এগুলো তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। শিক্ষার্থীদের আলাদা কোনো আয়ের উৎস নেই, সুতরাং প্রার্থীরা যা প্রচারণা করছে তা তাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই করছে। যেহেতু আমাদের কাছে তাদের কোনো ট্যাক্স ফাইল বা আয়ের উৎসের তথ্য নেই। তাই একজন ছাত্র কত টাকা খরচ করতে পারবে তা বলে দেওয়া মুশকিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা প্রার্থীকে লটারির মাধ্যমে ব্যালট নাম্বার দিয়েছি। এখানে সবাই ইনডিভিজুয়ালি এসেছে। কোনো প্যানেল হিসেবে আসেনি। আমাদের যে প্রার্থী তালিকা রয়েছে, ব্যালট রয়েছে- তাতে কোনো প্যানেল তালিকা থাকবে না। আমাদের যারা প্রার্থী আছে, তারা শিক্ষার্থীদের কাছে যাবে। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করবে। এটা নির্বাচনে একটি আনন্দের বিষয়।’
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুদিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাকসু নির্বাচন: দুইদিন বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা
রাকসু নির্বাচন: মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন ১১ প্রার্থী 