ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ব্যালট ছাপানো নিয়ে বিতর্ক, সন্দেহের অবসান চান ডাকসু প্রার্থীরা

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৩ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যালট পেপার অরক্ষিতভাবে ছাপানোর অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রার্থীদের অভিযোগ, নীলক্ষেতের একটি ছাপাখানায় নির্বাচন কমিশনের তদারকি ছাড়াই বিপুলসংখ্যক ব্যালট ছাপানো হয়েছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের ‘জালাল প্রিন্টিং প্রেসে’ প্রায় ৯৬ হাজার ব্যালট পেপার ছাপা হওয়ার অভিযোগ তোলেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ব্যালট পেপারগুলো ছিল অরক্ষিত ও কোনো সিরিয়াল নম্বরবিহীন, যা সহজেই জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, নীলক্ষেতের কোনো প্রিন্টিং প্রেসে ব্যালট ছাপানো সম্ভব নয়, কারণ ব্যালট ছাপাতে যে ওএমআর মেশিনের প্রয়োজন, তা শুধু নির্দিষ্ট স্থানে রয়েছে এবং সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করে ছাপা হয়েছে। তবে ব্যালট বিতর্ক থামছে না। একাধিক ছাত্রসংগঠন ও প্রার্থী স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে গত ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি বিবৃতি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা। সর্বশেষ বিবৃতিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন ব্যালট পেপারসংক্রান্ত অভিযোগ অতীব গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

নির্বাচনে জয়ী হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিযোগ, ফল ঘোষণার পর এই বিতর্ক সামনে এলে নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, ‘নির্বাচনের সময় প্রতিটি প্যানেলের পোলিং এজেন্ট, শিক্ষক, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন থাকলে প্রশাসনের উচিত তা অ্যাড্রেস করা। তবে শিক্ষার্থীদের মতামতকে অগ্রাহ্য করা উচিত নয়।’

৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪। নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও ফল প্রকাশের পরই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে।

বর্তমানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহের অবসান ঘটানো হবে। তবে শিক্ষার্থীদের একাংশ এই তদন্তকে নিরপেক্ষ ও দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

DR
আরও পড়ুন