ঢাকা
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন বহিষ্কার

আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ এএম

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে বাধা প্রদান, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে ১৬ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক এবং ১ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও কয়েকজনের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়।

সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, আন্দোলনে বাধাদানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগেই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাহমুদ আল কায়েস; একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাশিদুল ইসলাম রিয়েল; থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আনাস সরকার; ইইই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ সাব্বির; সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একই বর্ষের মো. ইঞ্জামামুল হাসান; ইএসই বিভাগের কেএমরাজু; বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোছা. তৃণা মির্জা; দর্শন বিভাগের একই বর্ষের মো. পারভেজ মাতুব্বর; পরিসংখ্যান বিভাগের মো. মোস্তাকিম মিয়া; চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের তাসনীমুল মবীন; বাংলা বিভাগের একই বর্ষের রিয়াজ উদ্দিন; চারুকলা বিভাগের হাসিব সিদ্দিকী এবং বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইম আহমেদ দুর্জয়।

একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে বাধাদানের অভিযোগে সাবেক প্রক্টর ড. সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. মেহেদী উল্লাহ এবং সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে সিন্ডিকেট। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অস্থিতিশীলতা বা সহিংসতায় জড়িত কারও প্রতি কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানায়। 

HN
আরও পড়ুন