ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য’

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১১ পিএম

উত্তম-সুচিত্রার পরবর্তী সময়ে ভারতীয় বাংলা ছবির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জুটি হিসাবে বলা হয় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার কথা। ভারতীয় বাংলা কর্মাশিয়াল ছবিতে এই জুটি উপহার দিয়েছেন ‘মায়ার বাঁধন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর মতো ব্লকবাস্টার। তবে নতুন শতাব্দীর শুরুতেই দূরত্ব তৈরি হয় দুই বন্ধুর সম্পর্কে। 

শোনা যায়, ঋতুপর্ণার ছোট্ট কথায় নাকি মর্মাহত হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। দুই তারকার ইগোই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বন্ধুত্বের মাঝে। বাংলা ছবির স্বার্থে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হাত ধরে ফিরেছিল এই জুটি। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’এর পর প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৪৮তম ছবি ‘প্রাক্তন’। তারপর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’। এই জুটির ম্যাজিক যে আজও অটুট তা প্রমাণ হয়ে হয়ে যায় পরবর্তী সময়ের ছবিগুলোতেই। এবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘অযোগ্য’ ছবিতে ৫০তম বারের মতো একসঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎকে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রকাশিত ছবির পোস্টারে কর্পোরেট লুকে প্রসেনজিৎ ও শাড়ি-সিঁদুরে গৃহবধূর বেশে দেখা গেল ঋতুপর্ণাকে। সম্পর্কের টানাপোড়েন কৌশিকের ছবিতে বরাবর প্রাধান্য পেয়েছে, এই ছবিতেও তার অন্যথা হবে না এমনটাই মনে হচ্ছে। 

যেটুকু জানা যায়, তাতে অযোগ্য-র গল্প এগোবে ব্যাংক কর্মী রক্তিম মজুমদার ও তার স্ত্রী পর্ণার দাম্পত্যের টানাপোড়েন নিয়েই। রক্তিমের চাকরি চলে যাওয়ায় তাদের সংসারের সমীকরণ হঠাৎই বদলে যায়। পরিস্থিতি কঠিন হয়, রক্তিমকে বাড়িতে থাকতে হয় এবং সন্তানের দেখাশোনা করতে হয়। এদিকে পর্ণাকে কাজ নিতে হয় ইনভেস্টমেন্ট ফার্মে।

এরই মাঝে তাদের জীবনে এসে হাজির হয় প্রসেন। আর তাতে সাধারণ মধ্যবিত্ত কাপলের জীবনের হিসাব-নিকাশে কি ওলট-পালট হয় সেটা নিয়েই গল্প।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে প্রসেনজিৎ বলেন, এর আগে এদেশের সিনেমার ইতিহাসে কোনো জুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছে বলে মনে হয় না। 'আমাদের কাজটা করতে খুব ভালো লেগেছে একসঙ্গে। ঋতুর সঙ্গে এটা আমার মাত্র ৫০তম ছবি তো! সেই ভারটা বহন করার জন্য একটা কাঁধ খুঁজছিলাম, সেই কাঁধটা কৌশিকদার মধ্যে পেয়েছি। আশা করছি দর্শক এই ছবির জন্য অপেক্ষা করবে'। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি অযোগ্য মুক্তি পাবে আগামী ৭ জুন।

NC/SA
আরও পড়ুন