ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পডকাস্টে বাবার বিরুদ্ধে ঋতাভরীর অভিযোগ

‘অভিনেত্রী জানান, বাবা উৎপলেন্দু তার গায়েও হাত তুলতেন।’

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম

কলকাতার শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ ঋতাভরী চক্রবর্তী। তার বাবাও ছিলেন একজন স্বনামধন্য অভিনেতা ও পরিচালক। ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট মারা যান ঋতাভরীর বাবা উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। আন্তর্জাতিক পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হন এ নির্মাতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দুই মেয়ে ও স্ত্রীর থেকে আলাদাই ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে বাবার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী। বাবা ও মায়ের মধ্যে হওয়া ঝামেলা, অতীতের তিক্ততা নিয়ে কথা বলেন ঋতাভরী। 

অভিনেত্রী জানান, বাবা উৎপলেন্দু তার গায়েও হাত তুলতেন। ঋতাভরী বলেন, ‘আমার বায়োলজিক্যাল বাবা, আমি তখন এতটাই ছোট, বয়স ওই ৩-৪ হবে! মায়ের ভাষায় ওইটুকু বাচ্চার গায়ে জায়গা কোথায় মারবার? সেটা করা থেকেও যখন উনি বিরত থাকতে পারলেন না, তখন মাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মাকে বেরিয়ে আসতে হয়।

ঋতাভরী আরও বলেন, ‘আমার মা বারবার বেরিয়ে আসতেন। আমার বাবা আবার এসে ক্ষমা চাইতেন। মা ভালো তো বাসত, মনে করতেন হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। এবার শুধরে যাবে। কিন্তু সেটা হতো না। আবার যেই কে সেই। উনি ছিলেন ক্রনিক অ্যালকোহলিক। ওই জন্য মদ নিয়ে, আমার বিশাল একটা সমস্যা আছে। যে কোনো পার্টিতে যখন হুস্কির আসরটা শুরু হয় না, আমি নিজেকে আসতে আসতে গুটিয়ে নিই। এখনো সহ্য করতে পারি না। ওই অ্যালকোহল ট্রমাটা আমার কাছে এখনো খুব স্ট্রং। ওই গন্ধটাই কোথাও পেলে আমার খুব অস্বস্তি হয়।’

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বাবা উৎপলেন্দু প্রসঙ্গে ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, ‘লোকটাকে চোখেই দেখিনি। শুধু কথা শুনেছি। আমার মা আর আমার দিদিকে কী কী সহ্য করতে হয়েছে সেগুলো শুনেছি। আর হালকা কিছু স্মৃতি আছে চার বছর বয়সের। তবে এখন আর কোনো অশ্লীল কথা বলতে চাই না।’

AA/NC
আরও পড়ুন