পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর লোকজন তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। তাই ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে মাহি নিজেই সাংবাদিকদের এক অডিও বার্তায় এই উদ্বেগের কথা জানান।
মাহিয়া মাহি বলেন, আমি ভীতসন্ত্রস্ত, আর মাত্র ৬-৭ দিন আছে। আমার যত পথসভা হবে হুট করে কে কখন ঢুকে যাবে। সাধারণ জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এ নিয়ে আমি রিস্কে আছি।
তিনি আরও বলেন, গণসংযোগ করছিলাম আমি। গত দুদিন আগে একজন মানুষের কাছে আমি ভোট চাইতে গিয়েছিলাম। তখন একজন মহিলা আমাকে ডাকছিল তার কাছে যাওয়ার জন্য। তার কাছে গিয়ে আমি বিনয়ের সঙ্গে ভোট চাইছিলাম। এ সময় আরেকজন মহিলা এসে আমার ভিডিও করতে লাগল। এরপর তিনি আমাকে নানান কথা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন। তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন- এ এলাকার জন্য কী করেছেন? করোনার সময় কী করেছেন? তিনি ভিডিওটা ফেসবুকে আপলোড করে দিয়েছিলেন। অনেকেই সেটা দেখেছেন। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তিনি মহিলা যুব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার গোদাগাড়ীর পালপুর বাজারের একটি প্রসঙ্গ টেনে মাহিয়া মাহি বলেন, বক্তব্য দেয়ার সময় হঠাৎ করে একজন এসে ওই একই কথা। আমাকে জিজ্ঞেস করে করোনার সময় আপনি কী করেছেন? তখন আমি বুঝতে পেরেছি, এটা আসলে নির্দেশ আছে আমার গণসংযোগে হুটহাট ইয়ে করার। তখন সে বলছিল আপনি করোনার সময় কী করেছেন? এতদিন পর এলাকায় আসছেন! একপর্যায়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয়।
তিনি বলেন, তখন সে আমাকে বলে, এটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস, এখানে পথসভা করতে পারবেন না। তখন আমি বলেছি, এটা সরকারি রাস্তা। এখানে পথসভা কেন করতে পারব না? আপনি আমার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। আমি প্রশাসনকে জানাব। তখন সে বলে, আপনার প্রশাসন থাকলে আমাদেরও প্রশাসন আছে।
ট্রাক প্রতীকের এই এমপি পদপ্রার্থী আরও বলেন, একপর্যায়ে সে সবার সামনে আমাকে সরি বলে। তারপর তারা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। বিভিন্নজনকে ফোন দিয়ে আসতে বলে। আমি শুনেছি- তারা বলছে, হুকুম দেন। খালি হুকুম দেন। তারা নাকি গাড়িতে হুক নাকি কী যেন নিয়ে আসছে। সেটাও ফোনে বলেছে। এরকম সিচুয়েশন হলে আমি ইউএনও ও ওসিকে ফোন করেছি। তারা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন।
ঘটনার পর মামলা প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মাহিয়া মাহি।
এদিকে এবিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এবিষয়ে বক্তব্য নিতে একাধিক বার চেষ্টা করেও ওমর ফারুক চৌধুরীকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
