৭২তম বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় এবারের মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জিতলেন ২১ বছর বয়সী মিস থাইল্যান্ড ওপাল সুশাতা চুয়াংস্রি। এবারের আসর বসে ভারতের তেলেঙ্গানায়। আর সেখানেই থাই নারী হিসেবে প্রথমবার এই খেতাব জিতে রেকর্ড বুকে নাম লেখালেন সুশাতা।
আর সেখানেই থাই নারী হিসেবে প্রথমবার এই খেতাব জিতে রেকর্ড বুকে নাম লেখালেন সুশাতা।
বিশ্বের সুন্দরীদের সেরার মুকুট এবার পৌঁছাল থাইল্যান্ডে। শনিবার (৩১ মে) তেলেঙ্গানার হাইটেক্স এক্সিবিশন সেন্টারে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫- এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সেরার মুকুট উঠে সুশাতার মাথায়।

নিয়ম অনুযায়ী, গত বছরের মিস ওয়ার্ল্ড ক্রিস্টিনা ক্রাউন পরিয়ে দিয়েছেন ওপালা সুশাতার মাথায়। এটাই বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগীতার রীতি। নতুন বিশ্ব সুন্দরীর মাথায় মুকুট পরিয়ে তাকে স্বাগত জানান পূর্ববর্তী বছরের বিশ্ব সুন্দরী।
এবারের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছেন ইথিওপিয়ার হ্যাসেট দেরেজে আদামাসু ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন পোল্যান্ডের মাজা ক্লায়ডা।

প্রতিযোগিতাটি উপস্থাপনা করেন সাবেক ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ স্টেফানি ডেল ভালে এবং ভারতীয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব সাচিন কুম্ভার। ১০৮টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।
সুন্দরীদের লড়াইয়ে ১০৮ দেশের প্রতিযোগী ছিলেন এ বছর। চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাতে প্রতিযোগীদের পার হতে হয়েছে হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ, টপ মডেল, বিউটি উইথ অ্যা পারপাস, ট্যালেন্ট, স্পোর্টস এবং মাল্টিমিডিয়া ইভেন্ট। এসব ধাপ পেরিয়ে নির্বাচিত হয় ৪০ জন কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট, এরপর প্রতিটি মহাদেশীয় অঞ্চলের শীর্ষ ১০, সেখান থেকে শীর্ষ ৫, পরে শীর্ষ ২ এবং শেষ পর্যন্ত একজন বিজয়ী।
থাইল্যান্ডের ফুকেট শহরের মেয়ে সুশাতার জন্ম ২০০৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর।

২০২৪ সালে সুশাতা মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড খেতাব জেতেন। এরপর তিনি যোগ দেন মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মূল পর্বে। সেখানে ১২৫টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে তৃতীয় রানারআপ হন। ২০২৫ সালে হন মিস ওয়ার্ল্ড থাইল্যান্ড। সেখান থেকেই এবার জিতলেন মর্যাদাপূর্ণ বিশ্বসুন্দরী খেতাব।
থাইল্যান্ডের থাম্মাসাত ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী সুশাতার রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রতি বিশেষ আগ্রহ আছে। নিয়মিত বিশ্বরাজনীতিরও খবর রাখেন। উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। বাবার নাম থানেট, মা সুপাত্রি। ফুকেটে পারিবারিক হোটেল ব্যবসা আছে তাঁদের।

কালো চুল আর বাদামি চোখের এই তরুণী প্রতিযোগিতার প্রতিটি পর্বেই বিচারকদের মুগ্ধ করেছেন তার বুদ্ধি ও সৌন্দর্য দিয়ে। ফাইনাল রাউন্ডে পরা সাদা গাউনটি প্রসঙ্গে সুশাতা বলেন, ‘এটা তাদের প্রতিনিধিত্ব করে, যারা ভয়ের বদলে আশাকে বেছে নেন। অন্ধকারে আলো হয়ে এগিয়ে আসে।’
থাই, ইংলিশ ও চায়নিজ-তিনটি ভাষায় পারদর্শী নতুন বিশ্বসুন্দরী। ২০১৬ সালে একটি সার্জারির পর তিনি সংগঠন গড়ে তোলেন, যার নাম ‘ওপাল ফর হার’। নারীদের স্তন স্বাস্থ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে এই সংগঠন।
