দেশজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৬ এএম

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। আকাশে ক্ষণিকের সূর্য এসেও থাকছে নিভুনিভু। কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে কয়েকদিন ধরে হিমালয় থেকে আসা শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশা স্বাভাবিক জনজীবনেও প্রভাব ফেলেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার এবং মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও সামান্য কমতে পারে। এছাড়া চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শনিবার জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। 

রাজশাহীসহ আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর থেকে আসা হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে রাজশাহীর জীবনযাত্রা। 

রংপুরে এক সপ্তাহ ধরে তীব্র শীত ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে হাড় কাঁপানো শীত। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৈরী আবহাওয়ায় কর্মজীবী পরিবারগুলো কাজে বের হতে পারছে না। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। রংপুরের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে রংপুরে ঘন কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫০ এবং সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৫-এর মধ্যে রয়েছে। আজ থেকে কুয়াশার প্রকোপ কমবে, সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের দিকে যাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি।

AHA
আরও পড়ুন