নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘাটে আসা যাত্রীরা। শনিবার (২৫ মে ) দুপুর থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় নৌ যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি উপকূলে দুর্যোগকবলিতদের সহযোগিতার জন্য রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপির আট হাজার ৯১০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে জরুরি সহায়তার জন্য ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা, ৩১৯ মেট্রিক টন চাল, ৬৬৩ প্যাকেট শিশু খাদ্য ও আট হাজার ২২০ কেজি গোখাদ্য মজুত আছে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা বলেন, নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা আবহাওয়া অফিস ঘোষিত ৯ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকায় হাতিয়ায় ২৪২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র জন-সাধারণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন নৌ রুটে সি-ট্রাক, ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের জানমাল ও নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হাতিয়ার সঙ্গে সব চলাচল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় চলাচল করবে।
