ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে তছনছ গোটা সুন্দরবন। কটকা রেঞ্জের জামতলা এলাকা থেকে আরও ২৪টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এ নিয়ে গত দুই দিনে মোট ২৬টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের জামতলা এলাকা থেকে ভেসে আসা মৃত এই হরিণগুলো উদ্ধার হয়। সময় ভেসে আসা আরও আটটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ।
খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্যের জামতলা এলাকা থেকে ভেসে আসা মৃত ২৪টি হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে গত দুইদিনে মোট ২৬টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার হল। উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনে গহীণে উঠে যাওয়া হরিণগুলো ভেসে গিয়ে সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা যেতে পারে বলে ধারনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদীখাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল দশফুটের উপরে। ওই পানি দেখে সুন্দবনের বন্যপ্রাণিকূলের মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম। এতগুলো হরিণের মৃতদেহ পেয়ে বনবিভাগ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।’
বন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দুবলার চরে। এছাড়াও বুড়িগোয়ালি, কলাগাছিয়া, হলদিবুনিয়া, কাচিকাটা, দোবেকিসহ অন্তত ১০টি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বন বিভাগের ক্যাম্পগুলোতেও। এসব এলাকার গড়ান, কেওড়া, সুন্দরীসহ ভেঙে পড়েছে বনের নানা অংশের গাছ। এবার ঝড়টি সরাসরি আঘাত হানায়, সুন্দরবনের ক্ষতি হয়েছে বেশি। মিঠাপানির পুকুর লোনা পানি ঢোকায় পানীয় জলের সংকটে পড়েছে বন্যপ্রাণী।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারের পানিতে গত তিনদিনে দফায় দফায় সুন্দরবনের বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে। বিস্তৃীর্ণ অঞ্চলে পানি উঠে যাওয়ায় বনবিভাগ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণির মৃত্যুর আশঙ্কা করে। ওই সময়ে বাগেরহাটের প্রধান প্রধান নদনদীগুলোতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
