বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চল। দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবচিহ্ন। দুর্বল বাঁধের কারণে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে জলোচ্ছ্বাসে। প্রায় ৭ ঘণ্টা ব্যাপী প্রচণ্ড শক্তির ঘূর্ণিঝড়ে প্লাবিত এবং তছনছ হয়ে গেছে বহু জনপদ, ঘরবাড়ি, বেড়িবাঁধ,গাছপালা, মাছের ঘের, ফসলের ক্ষেত, দোকানপাট, বাতিল হয়েছে বিমানের বহু ফ্লাইট।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ সাত জেলায় প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ১৬ জনের। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১০৭টি উপজেলার সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ। পৌনে ৩ কোটি গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ছেদ পড়েছে। ১৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি।
রিমালের আঘাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছে ঢকায় ৪, ভোলায় ৩, বরিশালে ৩, পটুয়াখালীতে ২, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে মোট ১২ জন। রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আলাদা ঘটনায় নারীসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
