ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যেসব সমস্যায় বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৯ এএম

হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল এবং এখনও আছে, তবে একমাত্র সুসংবাদ হলো এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। করোনারি হৃদরোগ তখন ঘটে যখন হৃদপিণ্ডে রক্ত ​​বহনকারী ধমনীগুলো সংকুচিত বা অবরুদ্ধ হয়ে যায়, সাধারণত ধমনীতে প্লাক বা ফ্যাট জমার কারণে এমনটা হয়। সংজ্ঞা অনুসারে এই প্রক্রিয়াটিকে এথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়। যা ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ডে রক্ত ​​প্রবাহ হ্রাস করে, যার ফলে ধীরে ধীরে বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক এমনকি হার্ট ফেইলিওরও হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ড এবং ধমনীর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।এর ফলে ধমনীর দেয়াল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চর্বি জমা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নিয়মিত ফলো-আপ, ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে রক্তচাপের মাত্রা বজায় রেখে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখার এটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়। PubMed central-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা না করা হলে তা হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

উচ্চ কোলেস্টেরল

সকল কোলেস্টেরলের রিডিং একই রকম হয় না! অত্যধিক LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল যাকে বলা হয়, ধমনীতে লেগে থাকে এবং প্লাক তৈরি করে যা ধমনীকে শক্ত করে তোলে। আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাক-সবজি এবং গোটা শস্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের খারাপ চর্বি কমে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মোট কোলেস্টেরল বৃদ্ধি CHD-এর জন্য একটি শক্তিশালী ঝুঁকির কারণ।

ডায়াবেটিস

রক্তে শর্করার মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে তা রক্তনালী এবং স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা হৃদপিণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রয়োজনে খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD) ডায়াবেটিস মেলিটাস (DM) রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের একটি প্রধান নির্ধারক।

ধূমপান

ধূমপান ধীরে ধীরে ধমনীর অভ্যন্তরীণ আস্তরণের ক্ষতি করে এবং শরীরে রক্ত ​​প্রবাহ এবং অক্সিজেন হ্রাস করে যার ফলে হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ধূমপান করোনারি ধমনী রোগের (CAD) ঝুঁকির কারণ।

স্থূলতা

শরীরের মাঝখানে (পেটের অংশে) অতিরিক্ত ওজন বহন করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তের কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সঠিক ব্যায়াম এবং খাদ্য সচেতনতার সাহায্যে যত্ন সহকারে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় সহজতর করতে পারে।

শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা

শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাও স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো ঝুঁকির কারণ। দিনে মাত্র ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা আপনার হৃদযন্ত্রকে শক্ত করে তুলবে এবং রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধি করবে। তাই অলস শুয়ে-বসে না থেকে শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করুন। 

SN
আরও পড়ুন