এক পড়ন্ত বিকেলে হাঁটছি,
সবুজ ঘাসের গালিচায় ছড়ানো
শুকিয়ে যাওয়া মরা পাতায় ছড়াছড়ি
দেখি মাতৃগর্ভে মৃত সন্তানের ন্যায়,
অপ্রকাশিত সহস্র নিষ্পাপ স্বপ্নের মরদেহ।
বাতাসে ভেসে আসা ইচ্ছেগুলোর পোড়া গন্ধ,
শ্বাসরুদ্ধ আমায় হত্যার হুমকি দেয়,
মলিন বদনে, ভীত চক্ষুপটে ভেসে ওঠে,
হতাশার দড়িতে গড়া ফাঁসির ফাঁদ।
নির্লিপ্ত একজোড়া উদাস নয়নে দেখি,
দিগন্তে হারানো অস্তমিত সূর্যের লালচে আভা,
রক্ত নদীর বানে ভেসে যাওয়া
জীবন্ত শত আকাঙ্ক্ষা গণমিছিল।
ঘাস ফড়িংয়ের ডানায় চড়ে
সাঁঝের সন্নিকটে, নীড়ে ফেরা পাখিদের দল,
হারিয়ে যায় অজেয় সব প্রাপ্তির অস্তিত্ব।
ঝড়ো হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হয়ে ভেঙে পরে
বর্ণিল এক আগামীর সম্ভাবনা।
মহাশুন্যে ভাসা যন্ত্রণার কালো মেঘ,
বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে, ব্যর্থতার বিষাদ নীলাভ জল।
বৃথা জন্মের অপরাধ বোধ, পরাজয়ে লজ্জিত গ্লানি
আঁধারের কালো চাদর হয়ে ঘিরে ফেলে আমায়
নিক্ষেপ করে অনির্দিষ্ট কালো অজানায়।
হৃদয়ে অনুভূত তীব্র আঘাতে ভাঙে দুঃস্বপ্ন
হঠাৎ জেগে উঠি তন্দ্রা মিশ্রিত চোখে,
পূর্বাকাশে উদীয়মান তপ্ত রবির চেতনায়
দৃঢ় সংকল্পের শৃঙ্খলে বাঁধি মন।
যুদ্ধের নীলনকশা আঁকি সাফল্য ময়দানে,
হোক দুঃস্বপ্নের জয়, শুভ আগামীর সৃজনে।
