ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিবিসি বাংলার বিশ্লেষণ:

ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধং দেহি

সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভুয়া খবরও ছড়াচ্ছে সমাজ মাধ্যমে, আবার সেগুলোই স্থান পাচ্ছে ভারতের নানা খবরের কাগজ ও টিভিতে।

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

বাংলাদেশে সনাতনী নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তারের পর থেকে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো এক ধরণের ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাব দেখাচ্ছে। ভারতের এক শ্রেণীর গণমাধ্যমে তথ্য যাচাই না করেই প্রকাশ করা হচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলা’র।

অনলাইনটির সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়, বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভুয়া খবরও ছড়াচ্ছে সমাজ মাধ্যমে, আবার সেগুলোই স্থান পাচ্ছে ভারতের নানা খবরের কাগজ ও টিভিতে।

এতে আরো বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানে বিগত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে একটা বিরোধিতার সুর দেখা যাচ্ছিল। তবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পরে তা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে।

বিবিসি বাংলা বলছে, ‘হাজার হাজার হিন্দুকে বাংলাদেশে হত্যা করা হচ্ছে, হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে’ এধরণের বাক্য প্রায়শই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আটকের বিরুদ্ধে ভারতে সংগঠিত বিক্ষোভগুলো থেকে।

বিশ্লেষকদের উদ্ধতি করে এতে জানানো হয়,  ভারতে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক ভাষণ, কাগজ-টিভির প্রতিবেদন এবং সমাজ মাধ্যম – সব মিলিয়ে যে আখ্যান তৈরি করা হচ্ছে, তা দেশটির হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে অনেক সাধারণ মানুষও বিশ্বাস করে ফেলছেন।

‘অল্ট নিউজ’ এর সূত্র উল্লেখ করে বিবিসি বাংলা জানায়, গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি খবরে ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপরে আক্রমণ’ হচ্ছে বলে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এসব ভুয়া টুইট বা ফেসবুক পোস্টগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে ‘সেভ বাংলাদেশি হিন্দুজ’ বা ‘অল আইজ অন বাংলাদেশি হিন্দুজ’ অথবা ‘প্রে ফর বাংলাদেশি হিন্দুজ’।

আরও একটি বাক্য এধরনের ভুয়া পোস্টগুলিতে দেখা গেছে, যার মোটামুটি বাংলা অনুবাদ হল ‘জিহাদিরা বাংলাদেশের হিন্দুদের কেটে ফেলছে, অথচ বিশ্ব একেবারে চুপ করে আছে’।

অল্ট নিউজের সম্পাদক প্রতীক সিনহা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা হচ্ছে এটাও যেমন ঘটনা, তেমনই এটাও সত্য যে বহু ভুয়া খবর, অসত্য তথ্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে মূলত দক্ষিণপন্থী সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। এর মধ্যে অনেক ভুয়া তথ্যই আবার মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে – এটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

অল্ট নিউজকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বাংলা প্রতিবেদনে অনেক ভুয়া খবর, ভিডিও ক্লিপ, অনলাইন পোস্টের অসারতা তুলে ধরে।  

 

আরও পড়ুন