নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেছেন, ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যু ও বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর এক ক্যাপ্টেনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের উদ্ধার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা জানান।
মাকসুদ আলম বলেছেন, শিগগিরই নাবিক-ক্রুদের উদ্ধারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে আলোচনার শর্ত গোপনীয়তার স্বার্থে বাংলাদেশি মধ্যস্থ্যতাকারীর বিষয়ে তথ্য দেয়া হবে না বলেও জানান।
এদিকে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহয় অবস্থানরত চার সোমালি জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
গত ১৫ মার্চ ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে এমভি আবদুল্লাহয় টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে।
এদিকে, সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে। ভারতের নৌবাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সশস্ত্র জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ কাছাকাছি এলাকায় উপস্থিত আছে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে এমভি আব্দুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাহাজের ২৩ ক্রুদের জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। গত ১৪ মার্চ জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দর থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়।
