আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানোর পরও দুর্নীতি কেন হবে? চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর সরকারি কর্মচারীদের হলফনামা আকারে সম্পদের হিসাব দাখিলের বিধান করার দাবি জানান। মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেছেন, বর্তমান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি। দুর্নীতি আমাদের সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বার বার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছেন। কিন্তু এখনো আমরা দুর্নীতি দমন করতে পারেনি। দুর্নীতির অবাধ প্রবাহ থাকলে কখনো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না, যেটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এখন।
তিনি বলেন, এবার কোরবানির ঈদে একটি গরু এক কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুটা কারা কিনলো, কেন কিনলো। যাদের অবৈধ আয় আছে, তারাই নিশ্চয়ই কিনেছে সেটা। আবার ১৫ লাখ টাকায় অবৈধ আয়ধারীরা ছাগলও কিনেছে। এসব অনেকাংশে দুর্নীতির অর্থ।
হানিফ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, তখন বলেছিলেন আমরা দুর্নীতি বরদাস্ত করবো না। সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে, তারপরে কেন তারা দুর্নীতি করবেন?
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন অভিযোগ করেন, সরকারি কর্মকর্তারা দেশে-বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করেন। সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন। কিন্তু দোষ হয় রাজনীতিবিদদের।
