বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এক বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তবে ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। আর শুধুমাত্র নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ।
ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার তত্ত্বাবধানে, বাংলাদেশে দেশব্যাপী এক জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভিওএ’র বাংলা বিভাগের নিউজ পোর্টালে এই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ চান দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন। আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ নির্বাচন চান ১৮ মাসের মধ্যে। মাত্র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জনগণ চার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
নির্বাচনের সময়সীমার প্রশ্নে কিছু জানেন না বলেছেন ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ, আর নির্বাচন কবে হওয়া উচিত সম্পর্কে মতামত দেননি ১ দশমিক ১ শতাংশ জন।
গত ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করে। এরপর থেকেই নির্বাচনের সময়সীমা ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বিষয়টি নানা মহলে আলোচিত হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কেমন আছে বাংলাদেশ, কী ভাবছেন দেশের নাগরিকরা, এ নিয়ে ১৩ থেকে ২৭ অক্টোবর ভিওএ দেশব্যাপী ওই জরিপ করে।
