ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করবে বাংলাদেশ

আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন আদালত ভারতে ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। 

আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম

বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি নিয়ে ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করবে বাংলাদেশ সরকার। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের লক্ষ্য, বিদ্যুতের দাম অনেকাংশে কমিয়ে আনা, যদি না আদালত শেষমেশ এই চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দেন। এদিকে আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন আদালত ভারতে ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। সেই সঙ্গে ভারতের এক রাজ্য সরকার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সই হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করছে; ফ্রান্সের টোটাল এনার্জি আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগ স্থগিত করেছে। 

২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করে। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত বছর উৎপাদনে আসে, সেখান থেকে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ হচ্ছে। তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার উচ্চ দামের কারণে চুক্তি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশের এক আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট সম্প্রতি আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত শেষ হবে এবং তখন আদালত চূড়ান্ত রায় দেবেন।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেন, ‘চুক্তিতে অসংগতি পাওয়া গেলে তা নিয়ে পুনরালোচনা করা হবে। দুর্নীতি বা ঘুষের মতো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিল করা হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে চলমান তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিছু সমস্যার বিষয়ে আদানি গোষ্ঠীকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। যেমন ভারতের বিদ্যুৎকেন্দ্র যে কর–সুবিধা পেয়ে থাকে, তা থেকে বাংলাদেশের উপকৃত না হওয়া। বিষয়টি চুক্তি নিয়ে পুনরালোচনার আংশিক কারণ হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের প্রভাব সরাসরি বাংলাদেশের চুক্তিতে পড়বে না বলে জানান তিনি।

আদানির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবে। এ ছাড়া এই বিদ্যুতের কল্যাণে ভোক্তাদের গড় বিদ্যুৎ খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমবে।

NC/WA
আরও পড়ুন