ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বেনাপোল সীমান্তে ৪১ বাংলাদেশিকে হত্যা

ভুল করে কেউ ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে বা অরক্ষিত সীমান্ত সামান্য অতিক্রম করলেই শুরু হয় বিএসএফের পৈচাশিক আচরণ।

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

গত ১৫ বছরে শুধু যশোরের বেনাপোল সীমান্তেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ বাংলাদেশি। তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। হত্যার তালিকায় আছেন বিজিবি সদস্যও। অথচ, আন্তর্জাতিক সীমান্তে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটিও বিচার হয়নি। এসব হত্যাকাণ্ডের কড়া জবাব দেয়ার তাগিদ থাকা উচিত বলে জানান মানবাধিকারকর্মীরা।

জানা যায়, জীবিকার তাগিদে কৃষি কাজ, গবাদিপশু চড়ানো ও মৎস্য আহরণের জন্য সীমান্ত এলাকা ও শূন্যরেখায় যেতে হয় বাংলাদেশি নাগরিকদের। ভুল করে কেউ ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে বা অরক্ষিত সীমান্ত সামান্য অতিক্রম করলেই শুরু হয় বিএসএফের পৈচাশিক আচরণ।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিতর্কিত ‘স্যুট-অন-সাইট’ বা ‘দেখামাত্র গুলি’ নীতি এখনও মানছে ভারত। তবে বর্তমানে গুলির পরিমাণ কমলেও নির্যাতন করে হাত-পায়ের শিরা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনা বেশি ঘটছে। তাদের এ আক্রশের শিকার কেবলই বাংলাদেশিরা। গত ১৫ বছরে শার্শা-বেনাপোল সীমান্তে ৪১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে এখনও পরিচয় মেলেনি ছয়জনের।

এ বিষয়ে রাইটস যশোর মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, একটা লোক যদি অপরাধী হয়, অনুপ্রবেশকারী হয় তাকে ধরে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত। এটা সরকার টু সরকার যাওয়া উচিত, তা না করে তারা গুলি করে হত্যা করছে। এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন তিনি।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে সারা দেশে বিএসএফের নির্যাতনে শিকার হয়েছেন ৫৮৮ বাংলাদেশি।

AA
আরও পড়ুন