ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পরিবহন ধর্মঘটে রাজধানীতে যাত্রী দুর্ভোগ

৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা মহানগরীতে চালু করা হয় ই-টিকিটিং পদ্ধতি ও কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস। 

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম

শুধু কাউন্টার থেকে যাত্রী ওঠানামার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় জনপদের মোড় অবরোধ করেন বাসশ্রমিকরা। এছাড়া বিভিন্ন রুটে লোকাল বাস চলাচল বন্ধ রাখায় নগরীতে দেখা দেয় যাত্রী দুর্ভোগ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার পর থেকে সায়দাবাদে সড়ক আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের সংকট দেখা দেয়।

সায়েদাবাদ এলাকার জনপদের মোড়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাসশ্রমিকরা জড়ো হতে শুরু করেন। প্রায় শতাধিক শ্রমিকের জমায়েত হওয়ার পর তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়া একই দাবিতে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে যাত্রাবাড়ি রুটে চলাচলকারী ‘রাইদা’, ‘অনাবিল’, ‘সালসা বিল’ এবং গাজীপুর-সায়দাবাদ রুটের ‘বলাকা’ পরিবহনের বাস সোমবার চলাচল করেনি। ফলে গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।  এ সুযোগে ইঞ্জিন চালিত রিকশা ও অটোরিকশা বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে। বাস না পেয়ে অনেকে হেঁটেই রওনা দেন গন্তব্যে।

এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা মহানগরীতে চালু করা হয় ই-টিকিটিং পদ্ধতি ও কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস। নতুন পদ্ধতিতে গাজীপুর-ঢাকা সড়কের বিভিন্ন রুটে প্রথম অবস্থায় ২১টি কোম্পানির ২ হাজার ৬১০টি বাস চালু করা হয়। সব গাড়ির রং নির্ধারণ করা হয় গোলাপি।

রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে প্রথম এই সেবা চালু করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা এত ভঙ্গুর, এত বিশৃঙ্খল; সেটি আর উপস্থাপনের যোগ্য নেই। একটি বাস, আরেকটি বাসকে গরু মহিষের মতো ধাক্কা মারে। ফেসবুক, এখানে সেখানে নিয়ে আমাদের অনেক উপহাস করা হয়। এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’

আরও পড়ুন