ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা ৭ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা সাত বছর কারাদণ্ড রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন সংশোধন আইন অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদে এ আইন অনুমোদন করা হয়।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
 
শফিকুল আলম বলেন, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলাগুলোর ক্ষেত্রেও অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগের আইন থেকে একটু নতুন সেকশন নিয়ে এসে আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর করা হয়। সেটার ক্ষেত্রে আরও যা যা পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’     

তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী অনুমোদন হয়েছে। এটা নিয়ে আইন উপদেষ্টা গত কয়েকদিন আগে বিস্তারিত বলেছেন। এরপর আমরা নারী সংগঠনের সঙ্গে আলাপ করেছি। আইনে মতামতগুলো অন্তর্ভুক্ত করার যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে। তার আলোকে আজ আইন নিয়ে ঘণ্টাখানেক আলোচনা হয়েছিল। এরপর এই সংশোধনী অনুমোদন হয়। আইনে বলাৎকারের নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই মামলাগুলোর জন্য ডিএনএ টেস্ট একটি বড় বিলম্বের কারণ ছিল। সেই জায়গাগুলো বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক নয় বরং যেকোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। সেইসাথে ধর্ষণের সংজ্ঞায় বলাৎকারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পেনিট্রেশন না, যদি অন্যকোনো বস্তু ব্যবহার করা হয় বা পায়ুপথে বা যেকোনভাবে ধর্ষণ করা হয়, সেটাও ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে আইন উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।

AA/NC
আরও পড়ুন