ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১০ মাসে ১০টি প্রকল্প পুনর্মূল্যায়নের পর ব্যয় কমিয়ে সর্বমোট ৪৬ হাজার ৩০৮.০৪ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এই পাঁচ বিভাগের ব্যয় সংকোচন হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
পোস্টে তিনি লিখেন, সরকার কী করছে? প্রায়ই শুনি। আমরা বলি, তবু অনেকেই মানতে চান না। আজ মনে হলো একটা উদাহরণ সুনির্দিষ্ট তথ্য সহ সবাইকে জানানো দরকার।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার লিখেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করে। যেসব প্রকল্পে অযৌক্তিকভাবে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছিল তা পুনর্মূল্যায়ন করে সরকার এই ব্যয় কমিয়ে আনে। এ টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আরও জানান, ব্যয় সংকোচনকৃত অর্থের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১০টি প্রকল্পে ১০ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৩২ কোটি টাকা, সেতু বিভাগের চারটি প্রকল্পে ৭ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি বিভাগের ৮ হাজার ৩৬ দশমিক ৯০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগের পাঁচটি প্রকল্পে ৭ হাজার ৪৫৪ দশমিক ৩১ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ৯টি প্রকল্পের ১২ হাজার ৪২৫ দশমিক ৫১৭৭ কোটি টাকা ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে।
তিনি লেখেন, এই টাকাটা লুটপাটের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সরকার জনগণের এ টাকাটা বাঁচিয়ে দিয়েছে। এ টাকা দিয়ে জ্বালানি খাতে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।
