ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৫, ০৪:১০ পিএম

গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ঠিকই, তবে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্টদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগের এবং বর্তমান পরিস্থিতি জেনেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেক ভালো। গোপালগঞ্জের ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব ছিল, তবে এখন সেখানে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরছে। কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে, ১৪৪ ধারাও শিগগিরই তুলে নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় এবারের হরতালগুলোতে নাশকতার মাত্রা অনেকটাই কম। আমরা সহনশীলতা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বজায় রাখতে আমরা সচেষ্ট। সবাই মতপ্রকাশ করবেন, তবে যেন কেউ অশালীন ভাষা বা আক্রমণাত্মক আচরণ না করেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, মিথ্যা বলে গণতন্ত্র হয় না, সত্যি কথা বলতে হবে। কেউ অন্যায় করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, কিন্তু যারা নির্দোষ তাদের যেন হয়রানি করা না হয়। গোপালগঞ্জে শিশু গ্রেপ্তারের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আগের মতো গণগ্রেপ্তার নয়, এখন শুধু প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেমন নিরাপত্তা প্রয়োজন, তা বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমেই নিশ্চিত করা সম্ভব।

আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'হরতালের নামে মাত্র দু-একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের তুলনায় এবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার ফল।'

গোপালগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার বিষয়ে তিনি জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে কী ঘটেছে এবং কেন মামলা করা হবে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সামনের জাতীয় নির্বাচন এসব বাহিনী দিয়ে সম্ভব কিনা- এমন প্রশ্নে জবাবে উপদেষ্টা বলেন, 'এই বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করা সম্ভব। তারা প্রস্তুত রয়েছে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রতিবন্ধকতা হবে না।'

তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা তুলে ধরে বলেন, 'আপনারা যে প্রশ্ন করতে পারছেন, সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে মতপ্রকাশের সময় যেন কোনো অশালীন বা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গণতন্ত্রে সত্য সবসময় প্রকাশ পায়।'

সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সব ডিসি, র‌্যাব কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। 

FJ
আরও পড়ুন