আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনি কর্মপরিকল্পনা ও রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে। এতে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনি আইন সংশোধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, জনবল প্রস্তুতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা- সব মিলিয়ে ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসির তৈরি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এদিকে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ বসাসহ ২৪ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করলেও ভোটগ্রহণ বা তফসিলের কোনো তারিখ নির্ধারণ করেনি সংস্থাটি।
কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে, রমজানের আগেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির কর্মপরিকল্পনার প্রধান দিকগুলো-
- অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ: সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু, চলবে দেড় মাস।
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ: চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৩০ নভেম্বর।
- নির্বাচনি আইন-বিধি: ৩১ আগস্টের মধ্যে আইন প্রণয়ন ও সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য।
- রাজনৈতিক দল নিবন্ধন: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত।
- সীমানা নির্ধারণ: ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিআইএস ম্যাপ প্রকাশ।
- পর্যবেক্ষক নিবন্ধন: ২২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন চূড়ান্ত, সনদ প্রদান ১৫ নভেম্বর।
- বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক অনুমতি: ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন।
- নির্বাচনি সামগ্রী প্রস্তুতি: পোস্টার, ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ও মালামাল বিতরণ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ।
- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি: ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম সভা, নভেম্বর মাসে বাজেট ও বরাদ্দ চূড়ান্ত।
- প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম: ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন।
- প্রবাসীদের ভোট: ২০২৬ সালের জানুয়ারি নাগাদ পোস্টাল ব্যালটের সব কার্যক্রম শেষ।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ভোটগ্রহণ করতে হবে। সে অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। ভোটের অন্তত দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণার নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আজ