ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাড়াতে জাতীয় লজিস্টিকস নীতি অনুমোদন

আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতি-২০২৫’ অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নীতিমালাটি দেশের পরিবহণ, সরবরাহ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আধুনিক, দক্ষ ও টেকসই করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
 
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ‘এই নীতিমালা লজিস্টিক খাতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একটা নীতিমালা থাকলে সরকার তার কাজের দিকনির্দেশনা পায়। আজকের এই নীতিমালা পরিবহন ও সরবরাহ খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রেস সচিব বলেন, নীতিমালার ফলে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তুলনায় আরও বাড়বে।
 
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে কখনো কখনো রপ্তানি পণ্য প্রেরণে ১১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে কিন্তু এই নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে পণ্য পরিবহন দ্রুত হবে, রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ হবে।’

তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালে প্রণীত আগের নীতিমালা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নতুনভাবে খসড়া তৈরি করে তা হালনাগাদ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব এহসানুল হকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এ নীতির নতুন খসড়া প্রণয়ন করে।
 
নীতিমালার লক্ষ্য সম্পর্কে প্রেস সচিব বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে রেলওয়ে ও নৌপরিবহন খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ নীতিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে লজিস্টিক খাতকে একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে রূপান্তর করা হবে, যেখানে শুল্ক, ফি ও কাগজপত্র সংক্রান্ত সব কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বাড়লেও এই নীতির মাধ্যমে রপ্তানি খাতকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।

DR/FJ
আরও পড়ুন