রাস্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দাফন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে ৪ টা ৪২ মিনিটে রাজধানী শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে স্বামী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির এক দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের অবসান ঘটলো।
এর আগে বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বিদেশি প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা শেষে বেগম জিয়ার মরদেহবাহী কফিন নিয়ে আসা হয় জিয়া উদ্যানে। সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত করা কবরে তাঁকে দাফন করা হয়। দাফনের সময় তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো শোকাতুর নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তর ও স্থাপত্য সংস্থা ‘বসত আর্কিটেক্ট’-এর তত্ত্বাবধানে শহীদ জিয়ার কবরের ঠিক পূর্ব পাশে এই নতুন কবরটি খনন করা হয়। মূল নকশা অক্ষুণ্ণ রেখে কবরের চারপাশ সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে বাঁধাই করা হয়েছে এবং উপরিভাগে রাখা হয়েছে সবুজ ঘাস।
দাফন শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় জিয়া উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় জমায়েত হওয়া লাখো মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে তাদের প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানান।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত
পুরো ঢাকাই যেন খালেদা জিয়ার জানাজার মাঠ
মায়ের জানাজায় দোয়া চাইলেন তারেক রহমান 