যে কোনো মূল্যে দেশ বিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি, স্বৈরাচারী শক্তি, বি-রাজনীতিকরণের শক্তিকে আমরা জীবন দিয়ে হলেও মোকাবেলা করবো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শনিবার (১৮ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজকে এই আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুধু ঢাকা নয় সারা বাংলাদেশের মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করতে চাই, বিদেশি প্রভুদের কাছে যারা নালিশ করে এবং যাদের কাছে ধর্না দিয়ে যারা গণতন্ত্র নষ্ট করে ক্ষমতায় যেতে চাই তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষ আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
নাছিম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে ২০৪১ সালের মধ্যেই বিশ্বসভায় আমাদের মর্যাদার জায়গাটিকে আমাদের এগিয়ে চলার পথকে সুনিশ্চিত করবো।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করা হয় এবং গণতান্ত্রিক শক্তির হাত থেকে দেশ পরিচালনা করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল খুনিরা। সেই খুনিদের হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের ঐক্যর প্রতীক হিসাবে,আলোর বাতিঘর হিসাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে সব কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ৮১ সালে দেশে ফিরে এসে বাংলার মানুষকে তিনি বলেছিলেন আমি পিতা-মাতা সব হারিয়েছি, সব হারানোর পরেও আমি আপনাদের কাছে ফিরে এসেছি আপনারাই আমার পিতা-মাতা পরিবারের সদস্য। আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি অবসানের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করতেও রাজি আছি।
তিনি আরও বলেন, গত ৪৩ বছরের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষকে, মুজিব আদর্শের সন্তানদের এক করে চারণের বেশে সারা বাংলাদেশে পথে-প্রান্তরে ঘুরে ঘুরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং সভা-সমাবেশ করেছেন। সকল অগণতান্ত্রিক শাসক,যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের দালাল খুনি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি নামক যে দল তৈরি হয়েছিল সেই অপশক্তির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে, কারফিউ উপেক্ষা করে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন।
দীর্ঘ ২১ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার,গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক শাসনতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তিনি সফল হন। এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজকে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, আমরা মর্যাদার আসনে বসেছি।
আনন্দ শোভাযাত্রায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সঞ্চালনায় ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিট থেকে আগত নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
