ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৪, ০২:১৬ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় দেন।

মোশাররফের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১২ সালে একটি আইন হলো যে, বিদেশে যাদের সম্পদ আছে, সেটাও ঘোষণা দিতে হবে। ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী বিদেশে থাকা আমার এবং আমার স্ত্রীর সম্পদ ঘোষণা করি। এ ঘোষণার মাধ্যমে ট্যাক্স কর্মকর্তারা আমার থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করেন। কিন্তু পরে সে ঘোষণার অঙ্ক ধরেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো টাকা বিদেশে পাচার করেছি, এমন কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। আইনজীবীরা স্বীকার করেছেন যে, আমার বিরুদ্ধে করা এ মামলা কেবলই রাজনৈতিক একটি প্রতিহিংসা। এ মামলার কারণে আমাকে জেলে যেতে হয়েছে, নির্যাতিত হতে হয়েছে। বিশেষ আদালতের বিচারক আজ সৎ সাহসের সঙ্গে সঠিক রায় দিয়েছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।  

২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রাপাচার করে আইন পরিপন্থি কাজ করেন। খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ড. খন্দকার মোশাররফ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় দুদক।

MB/FI
আরও পড়ুন