৫ আগস্ট বঙ্গভবনের ঘটনা বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের বিবৃতি

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বৈরতন্ত্রের উচ্ছেদ তথা জনগণের মুক্তির লড়াইয়ে একটি অনন্য মাইলফলক’

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

গত ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে তিন ছাত্রনেতাকে আনার বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শেখ মাসুদ নামে জনৈক ব্যক্তি জোনায়েদ সাকিকে জড়িয়ে তার ফেসবুক পোস্টে গত ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে তিন ছাত্রনেতাকে আনার বিষয়ে যা বলেছেন তা একেবারেই তার কল্পনাপ্রসূত।

আবুল হাসান রুবেল বলেন, সেদিন জোনায়েদ সাকি গণতন্ত্র মঞ্চের ৩ নেতা যথাক্রমে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন যারা বঙ্গভবনের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাদেরকে নিয়ে আসার জন্য কর্তব্যরত সামরিক কর্মকর্তাদের বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যে তিন ছাত্রনেতা বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে জোনায়েদ সাকির যোগাযোগের কোনো সূত্রই ছিলো না এবং তাদেরকে দরবার হলে নিয়ে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তারা কার মাধ্যমে দরবার হলে প্রবেশ করেছিলেন সে বিষয়ে জোনায়েদ সাকি কিছুই জানতেন না। 

ইতোমধ্যে সেই তিন ছাত্র তাদের নিজস্ব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যে, তারা সেদিন নিজেদের মতো করে দরবার হলে ঢুকেছিলেন, জানান তিনি।

রুবেল বলেন, জোনায়েদ সাকি যদি কোনো শিক্ষার্থী সমন্বয়ককে দরবার হলে নিতে চাইতেন তাহলে নিজেদের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সমন্বয়কদেরই হয়তো নিতেন। কাজেই দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক জনকণ্ঠসহ কয়েকটি পত্রিকার অসঠিক পদ্ধতির সংবাদ পরিবেশন ভীষণভাবে অনভিপ্রেত। 

NC/WA