ঢাকা
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বেগম রোকেয়ার আদর্শ নারী সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে: তারেক রহমান

‘বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন’

আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম

বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যান তারেক রহমান। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। 

খবর সংযোগের পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল- ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

‘কঠোর রক্ষণশীল পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। তিনি তাঁর নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান। উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। ’

‘তার জীবন-সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া এদেশের মুসলিম নারী সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচন্ড আক্রমনের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।’

‘তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল। বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিনটি ক্ষেত্রে নারীকে স্বায়ত্ত্বশাসিত ও আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আর এজন্য তিনি বিশ্বাস করতেন নারীকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া। নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে ছিলেন, শত কুপমন্ডুকতার বাধা সত্বেও।’

‘বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

NC