বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়, দেশে সুশাসন কায়েম করা আমাদের উদ্দেশ্য।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে যশোর ঈদগাহে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জামায়াত আমির দেশবাসীর কাছে চারটি জিনিস চেয়ে বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে দুই একটি জিনিস চাই। আমরা যদি দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করি- তাহলে আপনাদের অন্তরের ভালবাসা চাই। আপনারা যেন আমাদের ভালবাসা উপহার দেন। ভালবাসার সঙ্গে যেন সমর্থন ও সহযোগিতা চাই। সমর্থন ও সহযোগিতার পাশাপাশি জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেন আপনাদের পাশে পাই। এই জাতিকে বদলে দেওয়ার জন্য যেন আপনাদের অন্তরে একটা জায়গা চাই। এই চারটি জিনিস যদি দেশবাসী আমাদের উপহার দেয়, আমরা দেশবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত ইসলামী দেশবাসীর সেবা করা সুযোগ পেলে এদেশে চাঁদাবাজির অস্তিত্ব থাকবে না। দখলদারের অস্তিত্ব থাকবে না। ঘুস থাকবে না। আমরা ফ্যাসিবাদ, সাম্রজ্যবাদের প্রশ্রয় দেব না- এমন জাতি গড়তে চাই।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা যাদেরকে চোর, ডাকাত হিসেবে চিনি, তাদের সক্ষমতা কতটুকু? কিন্তু কলমের খোঁচায় যারা যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ডাকাতি করেছে, তারা বড় চোর-ডাকাত। আওয়ামী লীগ ও তার দোসরা ডাকাতি করে ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের পুঁজি দিতে পারছে না। অন্তর্বতীকালীন সরকার অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা করছে। আমরা চাই অর্থনীতি আরও গতিশীল হোক। বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আরও উদ্যোগী হোক।
দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একদল চাঁদাবাজি করে চলে গেছে। আরেক দল আসুক, আমরা চায় না। দেশে কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? হাতবদল হয়েছে। এজন্য তো এতে মানুষ শহীদ হননি। আমরা যেন শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি না করি। এসব ঘৃণিত কাজ করলে শহীদদের সঙ্গে বেইমানি হবে। আপনারা এই ঘৃণিত কাজ করবেন না। ফুটপাত, হাটঘাট, বালুমহাল, জলমহাল দখল, চাঁদাবাজিতে কোনো নেতাকর্মী পা দেবেন না।
জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, মাওলানা আজিজুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আমির অধ্যাপক আলী আযম, সাতক্ষীরা জেলা আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, মাগুরা জেলা আমির এম বি বাকের, নড়াইল জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, শহীদ আবদুল্লাহর পিতা আবদুল জব্বার, যশোর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, যশোর পূর্ব জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুল আজিজ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আবদুল মান্নান, যশোর জেরা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাড. গাজী এনামুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদের প্রমুখ।
মানুষ সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় চায়: জামায়াত আমির