শেখ হাসিনা চলে গেলেও কিছু কিছু ক্ষুদে স্বৈরাচার রেখে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে সংসদে পাশ করুন, এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র। সেটা না করে যদি কেউ বলে আমাদের এই দাবি না মানলে নির্বাচন করবো না অথবা আমরা আন্দোলন করবো, এটা হচ্ছে অগণতান্ত্রিক।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে আমরা জন অধিকার পার্টির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
খসরু বলেন, ঐতিহাসিকভাবে একটা জিনিস প্রতিষ্ঠিত, বিপ্লবোত্তর সমস্ত দেশে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে, সেসমস্ত দেশগুলো ভালো করছে। আর যে সমস্ত দেশের বিপ্লব পরবর্তী এই ধরনের কাজ করেনি, তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টায় চলছে, সেই দেশগুলোতে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশগুলোতে সমাজ বিভক্ত, সেই দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র তো দূরের কথা। আমাদের এক বছর অলরেডি অতিরিক্ত হয়ে গেছে, যত তাড়াতাড়ি জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা, মুক্ত চিন্তা কিছুই থাকবে না। দিনের শেষে দেখবেন, একটা সাংঘর্ষিক জাতি হিসেবে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করছি।
সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাব আসবে, তাতে সবার একমত হওয়া জরুরি নয়। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আর যেগুলোতে মতবিরোধ থাকবে, সেগুলো জনগণের কাছে নিতে হবে। জনগণের রায় পাওয়া প্রস্তাবই কার্যকর হবে।
‘ফ্যাসিস্ট পতনে তারেক রহমানকে সব দল মাস্টারমাইন্ড স্বীকৃতি দিয়েছে’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ২৪ আন্দোলনের কৃতিত্ব নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই । এটি সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলাফল। বাংলাদেশের মালিক জনগণ, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কৃতি বদলাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। অপরের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তার প্রতি, তার মতের প্রতি সম্মান জানাতে শিখতে হবে।
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান 