জামায়াতে ইসলামী মূলত জাতীয় নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই জাতীয় নির্বাচনের আগে পিআরসহ (সংখ্যানুপাতিক) গণভোটের দাবি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, জামায়াতসহ কিছু রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি ও গণভোট আয়োজনের দাবি তুলে বা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে জাতীয় নির্বাচন পেছাতে চায়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে কোরআন অবমাননা ও রাসুল পাক (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদাভাবে করলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য পোষণ করেছে। এমন সময় পিআরসহ (সংখ্যানুপাতিক) জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি অযৌক্তিক।
রিজভী আরও বলেন, কিছু তথাকথিত মানুষ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মহানবী (সা.)–কে অবমাননা করে যাচ্ছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে। জামায়াতের সিনিয়র নেতারা যে বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে কিছু বলেন না, সেটিও দুঃখজনক। তারা পিআরের কথা বলেন, জামায়াতের হিন্দু শাখার কথা বলেন। ইসলাম উদার ধর্ম; ইসলাম ধর্মে কাউকে ঠকানো হয় না, ক্ষতি করা হয় না, হত্যা করতে বলা হয় না।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। সঞ্চালনা করেন দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আবদুল বারী ড্যানী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতৃবৃন্দ।
