আগামী ৭-১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এর আগে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের চরিত্র ও শেখ হাসিনার চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভূতের মুখে এখন রাম নাম। জাতীয় পার্টি বলছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। দলটি সহযোগী ছিল শেখ হাসিনার পৈশাচিক শাসনামলে। তারা আঁতাত করেছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এতো দীর্ঘ সময় লাগতো না গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যদি না জাতীয় পার্টি তাদের সহযোগী হতো। নব্বইয়েও এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নানা ধরনের পীড়নের শিকার হতে হয়েছে। বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসিনার ভয়াবহতা ছিল তীব্র। যার কারণে বেগম জিয়া অনেক অসুস্থ। তার এই অসুস্থতা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। শেখ হাসিনা চক্রান্ত করে তার খাবার ও ওষুধের মধ্য দিয়ে তাকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্লট বরাদ্দের মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছর সাজা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে আদালতে হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই। কিছু বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, তারা বলছেন একই কায়দায় সব হচ্ছে। কিন্তু এখন তো কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় নেই, তাহলে কারা করছে। হাসিনার তৈরি করা ট্রাইব্যুনালেই তার বিচার হচ্ছে।’
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গুম-খুন এখন হচ্ছে না জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো হস্তক্ষেপ নেই সরকারে। কোর্টকে প্রভাবিতও করার কোনো ঘটনা নেই, যা শেখ হাসিনা করেছিলেন। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল হাসিনার। যারা নিজের দেশে নিজের সন্তান, ছাত্র, শ্রমিক হত্যা করে, তাদের বিচার হবেই। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। বিচারহীন থাকতে পারে না।’
তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা ফেরত না দেওয়া, ঋণ নিয়ে খেলাপী হয়ে আবারও ঋণ নেওয়ার সংস্কৃতি হলো হাসিনোমিকস।
এরশাদ-হাসিনা একই চরিত্রের: রিজভী
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কাল সারাদেশে দোয়া