চলতি বছর সৌদি আরবে তীব্র তাপদাহ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা হাজিদের প্রাণও কাড়ছে। এবার বছর হজ শুরু থেকে এ পর্যন্ত সৌদিতে তীব্র তাপদাহে হিটস্ট্রোকসহ জর্ডান, ইরান, সুদান ও ইন্দোনেশিয়ার কমপক্ষে ১৭০ হাজির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানায়, মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসিজদের ছায়ায় তাপমাত্রা ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১২৫.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছায় বার্ষিক হজ যাত্রার সময় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার পাঁচ দিনব্যাপী টানা তীব্র তাপদাহ ও লু হাওয়ার মধ্যে এবার ১৮ লক্ষাধিক নারী-পুরুষ হজের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন সম্পন্ন করেছেন। এদিন জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজের সময় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জর্ডানের ৬ জন নাগরিক মারা গেছেন।
এর আগে গত রোববার জর্ডান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, হজের রীতি পালনের সময় জর্ডানের ১৪ জন হাজি মারা গেছেন। অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন বলেছে, এ বছর হজ পালনের সময় সৌদিতে অন্তত ১১ ইরানি নিহত হয়েছেন। তবে সৌদিতে হজের সময় এই দু দেশের নাগরিকদের প্রাণহানির কারণ জানায়নি দেশ দুটো।
এদিকে, সুদানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হজের সময় সৌদিতে সুদানের ৩ নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ইন্দোনেশিয়ার একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোমবার ফরাসি সংবাদমাধ্যম লি মন্ডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এ বছর হজ পালনের সময় সৌদিতে ১৩৬ ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
উল্লেখিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, এ বছর হজের সময় এখন পর্যন্ত ১৭০ হাজির মৃত্যুর খবর জানা গেছে।
সৌদি আরবের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, অত্যন্ত উচ্চ-তাপমাত্রার মাঝে হজ পালনকারী মুসলিম হজযাত্রীদের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যু দেখতে পায়নি কর্তৃপক্ষ।
সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি অধিদপ্তরের প্রধান জামিল আবুলেনাইন জানান, আমরা হজের সময় হজযাত্রীদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর স্বাভাবিক সংখ্যায় কোন অস্বাভাবিক ঘটনা কিংবা বিচ্যুতি দেখতে পাইনি। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
