ইসলামের ৫টি স্তম্ভের গুরুত্বপূর্ণ একটি যাকাত। পবিত্র কোরআনে যাকাতের আদেশ করা হয়েছে। ইসলামে ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হলো নামাজ ও যাকাত।
কোরআনে বর্ণিত আছে, ‘এবং তোমরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য যাকাত আদায় করো। অতঃপর তিনি তা দ্বীগুণ করে দেবেন। (সূরা আর-রুম,আয়াত : ৩৯)
যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে- এমন স্বাধীন ও পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নর-নারী যাকাত আদায় করবে। আল্লাহ তায়ালা যাকাত ব্যয়ের খাতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। গরিব-দুঃখীর স্বার্থের প্রতি খেয়াল রেখেই যাকাতের খাতগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তির আপন ভাই ও বোন যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হলে তাদেরকে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে। বরং তাদেরকে যাকাত দেওয়া উত্তম। কেননা, তাদেরকে দিলে দুটি সওয়াব হবে। একটি সদাকার সাওয়াব, অপরটি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার সওয়াব।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, মিসকীনকে যাকাত দেওয়া সদকা। আর আত্মীয়কে দেওয়া সদকা ও আত্মীয়তার হক আদায়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৭৯৪; সুনানে নাসাঈ, হাদিস : ২৫৮২)
আত্মীয়দের মধ্যে যাদের যাকাত দেওয়া যাবে না
যে কোনো মুসলমান দরিদ্র ও অভাবীকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যায়। তবে নিজের আত্মীয়দের মধ্যে যাদের ভরণপোষণের খরচ দেওয়া আবশ্যকীয় কর্তব্য বা ওয়াজিব তাদেরকে যাকাত দেওয়া যায় না। যেমন নিজের বাবা, মা, দাদা, দাদী, নানা, নানী যত ওপরেরই হন, নিজের ছেলে, মেয়ে, পৌত্র, প্রপৌত্র যত নিচেরই হয়, এদেরকে যাকাত দেওয়া নিষিদ্ধ। তারা অভাবে পড়লে সামর্থ্য থাকলে তাদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করা ওয়াজিব।
যাদের যাকাত দেওয়া যাবে
শবে কদরের রাতে রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন