ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম

বৃহস্পতিবার পবিত্র লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদর আরবি শব্দ। লাইলাতুল অর্থ রাত আর কদর অর্থ মর্যাদা, সম্মান, মাহাত্ম্য, ভাগ্য নির্ধারণ ইত্যাদি। তাহলে লাইলাতুল কদরের অর্থ মহিমান্বিত রাত, মর্যাদাপূর্ণ রাত, মহৎ রাত, ভাগ্য নির্ধারণের রাত। 

মাহে রমজানের সীমাহীন ফজিলত এবং বরকত লাইলাতুল কদরের কারণেই। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সারা দেশে শবে কদর পালিত হবে।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। তবে রমজানের কোন রাতটি শবে কদরের তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোরআন ও হাদিসে। তবে এ সম্পর্কে কতগুলো নিদর্শন দেয়া হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে কদর তালাশ করতে বলেছেন।
 
শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম
লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। লাইলাতুল কদরের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত সুন্দর ও মনোযোগসহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া পড়বেন, ইস্তেগফার পড়বেন ও তওবা করবেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

এ ছাড়া বিশেষ কিছু সুরা পড়তে হবে, এটা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে চাইলে বেশি বেশি সুরা কদর ও সুরা ইখলাস পড়তে পারেন।

লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ত:

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া'লা রাকআ'তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
 
অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।
 
শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম
লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। লাইলাতুল কদরের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত সুন্দর ও মনোযোগসহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া পড়বেন, ইস্তেগফার পড়বেন ও তওবা করবেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
 
এ ছাড়া বিশেষ কিছু সুরা পড়তে হবে, এটা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে চাইলে বেশি বেশি সুরা কদর ও সুরা ইখলাস পড়তে পারেন।
 
এ রাতে যে দোয়া বেশি পড়বেন
রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতে শবে কদর হতে পারে। প্রত্যেকটি বেজোড় রাতে ইবাদত করা উচিত। এবং এ রাতে হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া করা উচিত।
 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে এসেছে, আমি বললাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, এ কথা যদি আমি জানতে পারি তবে সে রাতে কি দোয়া করব? জবাবে নবীজি বলেন, তুমি বলবে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
 
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)

Fj/br
আরও পড়ুন