ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গরম থেকে বাঁচতে জাপানের ফ্যান জ্যাকেট

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪ এএম

জাপানে “দ্য ডি রিগুর” জ্যাকেটটি বেশ সাড়া ফেলেছে। গ্রীষ্মের অসহনীয় গরম ও বাড়তে থাকা তাপমাত্রায় শীতল ও নিরাপদ থাকতে এই জ্যাকেটের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। কেননা এই জ্যাকেটে রয়েছে বৈদ্যুতিক পাখা (ফ্যান)।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, জ্যাকেটের ভিতরে থাকা পাখার বাতাসে তাপমাত্রা কমে ব্যবহারকারীকে যেমন স্বস্তি দেয় তেমনি এতে তেমনি আর্দ্রতাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

সনি থেকে অবসরের পর ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভ্রমণের সময় প্রকৌশলী হিরোশি ইশিগায়া'র এ ধরনের উদ্ভাবনের বিষয়টি মাথায় আসে। এরপর এই প্রকৌশলী এই জ্যাকেটের উদ্ভাবন করেন। ইশিগায়া তখন বুঝতে পেরেছিলেন, নতুন ভবনগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহারের প্রসার ঘটবে। এর ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আরও বাড়বে। এর বিকল্প হিসেবে তিনি ফ্যান জ্যাকেট বাজারে আনেন; ২০০৪ সালে। এই জ্যাকেট তখন “এয়ার কন্ডিশনড ক্লোথ” হিসেবে পরিচিতি পায়।

প্রথমে গরমের মধ্যে জ্যাকেট পরার বিরোধিতা করেছিলেন অনেকেই। এর সঙ্গে জ্যাকেটের মডেলেও কিছু ত্রুটি ছিল। তবে ২০০৯ সাল থেকে এই জ্যাকেট জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। এরপর প্রতিষ্ঠানগুলো জ্যাকেট প্রস্তুতে জোর দেয়।

২০১৫ সালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মাকিতা ফ্যান জ্যাকেট প্রস্তুত করে। তারা বুঝতে পারে এই পণ্যের চাহিদা তৈরি হতে পারে।

মাকিতার সহকারী ব্যবস্থাপক ডাইসুকে সেকি বলেন, আমরা আলাদাভাবে কোনো পণ্যের বিক্রির তথ্য প্রকাশ করি না। তবে গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা বাড়ায় এই জ্যাকেটের চাহিদা বেড়েছে।

বাজারে ফ্যান জ্যাকেটের বেশ কিছু মডেল রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটারির মডেলটি টানা ৬০ ঘণ্টা বাতাস দিতে পারে। ফলে চাহিদার কারণে বর্তমানে বাজারে পর্যাপ্ত ফ্যান জ্যাকেটের সরবরাহ রয়েছে। যা শীর্ষ ১০০ পণ্যের তালিকার মধ্যে রয়েছে।

SN/AST
আরও পড়ুন