ঢাকার মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এলাকার যানজট নিরসনে রোববার (১২ মে) থেকে 'গেটলক চেকিং সিস্টেম' চালু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক বিভাগ।
এই উদ্যোগ সফল করতে মাঠে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক বিভাগ, মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
গেটলক চেকিং সিস্টেম চালুর পর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে কাকলি-বনানী পর্যন্ত যানজট অনেকটাই কমে গেছে। মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে ও আশেপাশের সড়কে আগে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকত। এখন আর এসব জায়গায় বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকছে না।
একই সাথে আন্তঃজেলার বাসগুলো মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ছাড়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত আগের মতো যেখানে-সেখানে থেমে যাত্রীও নিচ্ছে না।

বিষয়টি যৌথভাবে তদারকি করছে পুলিশের গুলশান ট্রাফিক বিভাগ, মহাখালী সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
বুধবার (১৫ মে) সকালে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, মহাখালী রেলগেট, কাকলি ও বনানীতে গিয়ে দেখা যায় যানজট অনেকটাই কমে গেছে।
মহাখালী বাস টার্মিনালে ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দ মাইকিং করে যানজট সৃষ্টি না করতে বিশেষ নির্দেশনা দিচ্ছেন।
অপরদিকে বনানীতে চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রী উঠা-নামার বিষয়টি তদারকি করছেন মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি বৃন্দ।
একই সাথে মহাখালী অঞ্চলে যানজট নিরসনকল্পে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিও ছিল বেশি।

মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়কে নিয়মিত সিএনজি-চালিত অটোরিকশা চালান মিন্টু। তিনি দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, গত কয়েকদিন হলো বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজট খুব একটা নেই। এখানে এখন ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি বেশি দেখছি।
মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়কের সাথে মোটর যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন হুমায়ুন কবির। তিনি দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, গত কয়েকদিন হলো বাস টার্মিনালের সড়কে আগের মতো আর বাসগুলো থামছে না। এমনকি আমার গাড়িও সড়কের পাশে রাখতে দেয়নি ট্রাফিক পুলিশ।
মহাখালী রেল গেট এলাকায় দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য শাহিন মঞ্জুর দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, আমরা মানুষকে সচেতন করছি। মানুষ যাতে সড়কে যেখানে-সেখানে গাড়িতে না উঠে সেই বিষয়টি বলছি।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, মানুষের ভোগান্তি দূর করতে এখনকার গেটলক চেকিং সিস্টেম চালু থাকবে। আমরা পুলিশের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয়েছিল মাত্র ৪০০ টি বাস রাখার জায়গা নিয়ে। আর এখন মহাখালী থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ শত বাস যাতায়াত করে।
বাস টার্মিনালের জায়গা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন আব্দুল মালেক।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এ এস এম হাফিজুর রহমান দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেম অব্যাহত থাকবে। একই সাথে যাত্রীদের সচেতন করার বিষয়টিও আমরা জারি রাখব।
