ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মোজো বিক্রির আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা যাচ্ছে ফিলিস্তিনে

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ০৯:২১ পিএম

বাংলাদেশের কোমল পানীয় ব্র্যান্ড ‘মোজো’ বিক্রি থেকে সংগৃহীত প্রতি বোতলে এক টাকা করে মোট ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় পাঠানো হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য গঠিত তহবিলের আরেকটি অংশ এটি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ সাহায্য পাঠানো হয়েছে।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ঘোষণা করে মোজোর প্রতি বোতল বিক্রির এক টাকা করে ফিলিস্তিনিদের পাঠানো হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সাড়ে তিন কোটি টাকা পাঠানো হলো। এর আগে ১ কোটি ৫০ হাজার টাকা ফিলিস্তিনি দূতাবাসে জমা দেয়া হয়। কিন্তু ফিলিস্তিনি দূতাবাস কীভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের সাহায্যে ব্যয় করছে আকিজ গ্রুপ থেকে জানতে চাওয়া হলে তারা এ টাকা ব্যাংকে রেখে দিয়েছে বলে জানায়। পরবর্তীতে এ টাকা ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থে ব্যয় করা হবে বলে আকিজ ফুডকে জানানো হয়।

মূলত এরপর থেকেই আকিজ ফুড সরাসরি টাকা পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে আকিজ গ্রুপ জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত রমজান মাসে আকিজ গ্রুপ মোজো বিক্রির পাশাপাশি নিজেদের তহবিল থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার  জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতায় মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটি এবং আসক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরাসরি গাজায় ত্রাণ পাঠায়। এ দুটি সংস্থার সাথে আকিজ ফুডের প্রতিনিধিও নিয়োজিত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজের বিপণন কর্মকতা মো.আইদুল ইসলাম খবর সংযোগকে বলেন, আকিজ গ্রুপ যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগ শতভাগ সফল করার লক্ষ্যে আমাদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে সরাসরি ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করি। মোজো বিক্রির প্রথম কিস্তি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো হলে এ টাকা সঠিক সময় ফিলিস্তিনে না পৌঁছানোর আশঙ্কা থেকে আমরা সরাসরি পাঠানোর উদ্যোগ নিই। যেহেতু ফিলিস্তিনি দূতাবাস ব্যাংকে টাকা রেখে দিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেখানে ব্যয় করবে বলে আমাদেরকে জানায়। কিন্তু আমরা চাচ্ছি, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের সাহায্যে পাঠানো টাকা এখনি তাদের জন্য ব্যয় হোক। এ জন্য আমরা জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের সহযোগিতায় সেখানে খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি। গত রমজানে আমাদের টাকায় ১৫ লাখ মিল দেওয়া হয়েছে। কোরবানির ঈদে গরুর মাংস যাবে বলেও জানান তিনি।

অনুদানের অর্থ সঠিকভাবে গাজায় পৌঁছাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের সহযোগিতায় মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটি এবং আসক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও আমাদের প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে কাজ করছে। তারাই আমাদের প্রতিটি প্রক্রিয়ার আপডেট দিচ্ছে। আমাদের ভিডিও ও ছবি পাঠাচ্ছে। তাছাড়া ক্রেতা চাইলেই মোজোর বোতলে যে স্ক্যানার দেওয়া আছে তাতে স্ক্যান করলে কত টাকা এ পর্যন্ত জমা হয়েছে জানতে পারবে। 

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের কোমল পানীয় ব্যান্ড মোজোর বিক্রি বেড়ে যায় কয়েক গুন। মোজো কোলা ড্রিঙ্কের বাজার অংশীদারিত্ব ২৯% ছিল। ঘোষণা দেওয়ার দু-তিন মাসের মধ্যে তা বেড়ে ৩৫% হয়ে যায়। বর্তমানে এ ড্রিঙ্কের ৩৯% মার্কেট অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা যায়।

বর্তমানে বাজারে মোজো পানীয়র ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাজারে এর সংকট দেখা দিয়েছে। মোজোর চাহিদা বাড়লেও  অন্যান্য ব্যান্ডের কোমল পানীয়র বাজারে ধস নেমেছে।

RY/WA
আরও পড়ুন