উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বেয়ার লেভারকুসেন। বৃহষ্পতিবার (২ মে) অ্যাওয়ে ম্যাচে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়ে এখন তারা ফাইনালের পথে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। গত ২২ বছরের মধ্যে ক্লাবটির সামনে এখন প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার হাতছানি। ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও রবার্ট অ্যানড্রিখ মূল্যবান গোল দুটো করেন।
সময়টা এখন লেভারকুসেনের বলা যায়। বুন্দেসলিগায় এবার চ্যাম্পিয়ন তারা। পৌঁছেছে জার্মান কাপের ফাইনালে। এখন অপেক্ষা ইউরোপা লিগের ফাইনালে পৌঁছানোর।
ইউরোপা লিগে অবশ্য লেভারকুসেনের অধ্যায়টা তেমন সমৃদ্ধ নয়। একবারই মাত্র তারা শিরোপার দেখা পেয়েছে, ১৯৮৮ সালে। জার্মান স্ট্রাইকার মাইকেল বালাকের গোলে জয় পেয়েছিল তারা।
রোমাকে হারানোর মাঝ দিয়ে লেভারকুসেন ইউরোপের সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে টানা ৪৭ ম্যাচ অপরাজিত। ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর থেকে অপরাজিত তারা।
অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও শুরু থেকেই লেভারকুসেনের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। তবে ধীরে ধীরে রোমা ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করে। সফলও হয় তারা। ২১ মিনিটে রোমেলু লকাকু রোমাকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তার নেওয়া হেডের বলটি ক্রসবারে আঘাত করে। এই আক্রমণের রেশ শেষ হতে না হতেই জাবি আলোনসোর প্রশিক্ষণাধীন লেভারকুসেন গোল করে এগিয়ে যায়। ফ্লোরিয়ান উইর্টজ করেন গোলটি। মূলত রোমার রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগটি কাজে লাগান তিনি। বিরতির আগেই সফরকারী দল ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু জেরেমি ফ্রিমপং গোল করতে ব্যর্থ হন।
ফ্রিমপং ব্যর্থ হলেও সতীর্থ ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ৭৩ মিনিটে তারই ফসল তারা ঘরে তোলে। অ্যানড্রিখ জোরালো শটে রোমার গোলরক্ষককে হতভম্ব করে বল জালে ফেলেন।
ইউরোপা লিগে উভয় দল এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হলো। গত মৌসুমে রোমা নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল। ফিরতি লেগের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে তারা ফাইনালে পৌঁছেছিল। এবার তাদের পথটা কঠিনই করে দিল লেভারকুসেন। আগামী বৃহষ্পতিবার ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
