দুই বছর আগের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল ইংল্যান্ড। সে সময়ে দল দুটোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। শক্তির বিচারে কোনো দলকে পরিস্কারভাবে এগিয়ে রাখার সুযোগ ছিল না। দুই বছর ব্যবধানে চিত্রটা ভিন্ন। দুই দলের মধ্যে পরিস্কার ব্যবধান রয়েছে। আর তাতে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপের আগে চার ম্যাচের টি-২০ সিরিজে দুই দলের ব্যবধানটা স্পষ্ট হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চার ম্যাচের দুটো মাঠে গড়াতে পারেনি। যে দুটো গড়িয়েছিল তাতে যাচ্ছেতাইভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে পাকিস্তান। বৃহষ্পতিবার (৩০ মে) অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে। ১৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের করা ১৫৭ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ১৫.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়। এর ফলে চার ম্যাচ সিরিজটি ইংল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে।
ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে যাচ্ছেতাইভাবে মার খেয়েছে পাকিস্তান। ইংলিশ ব্যাটাররা পাকিস্তানের বোলারদরে পাত্তাই দেয়নি। শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফকে নিয়ে গড়া পেস ডিপার্টমেন্টকে তুলোধুনে করেছেন ফিল সল্ট, জস বাটলার আর জনি বেয়ারস্টোরা। ফিল সল্ট মাত্র ২৪ বলে ৪৫ রান করেন। বাটলার খেলেছেন ২১ বলে ৩৯ রানের এক ইনিংস।
শাহীন শাহ আফ্রিদি কিছুটা সমীহ আদায় করতে পেরেছেন। কোনো উইকেট পাননি, তিন ওভার বোলিংয়ে দিয়েছেন ২০ রান। নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ আমিরের বোলিংয়ে রান উৎসবে মেতেছিল ইংলিংশ ব্যাটাররা। নাসিম শাহ ৪ ওভারে ৫১ রান দিয়েছে। আর মোহাম্মদ আমির যা করেছেন তাতে তাকে দুই ওভারের বেশি বল দিতে সাহস করেননি দলটির অধিনায়ক। দুই ওভারে তার খরচ ২৭ রান। সফল ছিলেন হারিস রউফ। ৩.৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
এর আগে ব্যাট হাতে নেমে পাকিস্তানের শীর্ষ তিন ব্যাটার রানের দেখা পেয়েছেন। তবে তা যথার্থ ছিল না। মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৬ বলে করেছেন ২৩ রান। বাবর আজম ২২ বলে ৩৬ ও উসমান খান ২১ বলে ৩৮ রান করলেও পরবর্তী ব্যাটারদের ব্যর্থতা পাকিস্তানকে পিছিয়ে দেয়। ফখর জামান (৯), শাদাব খান (০) ও আজম খান (০) ভালো করতে পারেননি। ফলে তাদের রানটাও বাড়েনি।
পাকিস্তানের ব্যাটাররা ইংলিশ বোলারদের হতাশ করেননি। বল হাতে নেওয়া ছয় বোলারের সবাই কম বেশি উইকেট পেয়েছেন।
