ম্যাচ তো মূলত ‘শেষ’ হয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসের পরপরই। বাকি যেটুকু সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ব্যাটিং করলো সেটা কেবল জয়ের আনুষ্ঠানিকতা। চট্টগ্রামের ৭২ রানের মামুলি স্কোর মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১০ ওভারের মধ্যেই টপকে গেল। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এলো কুমিল্লা। আর ৬ নম্বর ম্যাচে এটি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় হার। পয়েন্ট তালিকায় তারা এখনো দ্বিতীয় অবস্থানে।
সিলেট শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতের এই ম্যাচে স্পিনের কাছেই হাঁটু গাড়ে চট্টগ্রাম। আরেকটু সুনির্দিষ্ট করে স্পিনার তানভীর ইসলাম ৪ ওভারে ১৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচটা নিজের করে নেন। পাওয়ার প্লেতেই ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা গোটা ইনিংসে ‘চ্যালেঞ্জই’ ভুলে গেল! ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারালো তারা। পুরো দলই ধসে পড়লো। টম ব্রুস ২৭ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ১১ ছাড়া দলের আর কোনো ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে যেতে পারেননি। তানভীরের পাশাপাশি কুমিল্লার আরেক স্পিনার অ্যালিস ইসলাম ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেন।
উইকেটে স্পিনারদের জন্য বেশ ভালো টার্ন ছিল কিন্তু তাই বলে ব্যাটসম্যানরা এখানে দাঁড়াতেই পারবেন না- এমন কোনোকিছু ছিল না উইকেটে। সোজা কথা ব্যাটসম্যানরা বাজে ব্যাটিংও করেছেন। চট্টগ্রামের ৭২ রানে গুটিয়ে পড়ার অন্যতম কারণও সেটাই।
রান তাড়ায় নেমে কুমিল্লা ৩ উইকেটে হারালেও এতো সহজ টার্গেট টপকে যেতে তাদের বেশি কষ্ট করতে হয়নি। দাপটের সঙ্গে এই ম্যাচ জিতলেও কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাসের ফর্ম কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছেই। এই ম্যাচেও মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছেন লিটন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭২/১০ (১৬.৩ ওভারে, টম ব্রুস ২৭, জাদরান ১১, তানভীর ৪/১৩, অ্যালিস ২/১৪)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭৩/৩ (৯.২ ওভারে, রিজওয়ান ১৬*, তাওহীদ হৃদয় ৩১*)। ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : তানভীর ইসলাম।
