বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি সারছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ৪ টি-টোয়েন্টির ফল দেখলে; সেই প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা না কারোই। কেননা, ম্যাচের ফল যে পক্ষেই এসেছে বাংলাদেশের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের পথে আছে নাজমুল শান্তর দলটি। তবে উল্টো করেও ভাবা যায়, ভালো করে প্রতিটি ম্যাচে ব্যাটারদের স্কোর শিটে তাকালে চোখে পড়বে ব্যাটারদের দৈন্যদশা। ফুটে উঠবে বাকি দলগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যাটারদের পার্থক্য ঠিক কতটা। বিশ্বকাপের আগে যা বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
সবশেষ ম্যাচের কথায় ধরা যাক, টানা তিন ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠার আভাস মিলেছিল চতুর্থ ম্যাচে এসে। তানজিদ তামিম-সৌম্য সরকার জুটিতেই পেরিয়ে গিয়েছিল দলীয় শত রান। টি-টোয়েন্টিতে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। ১১ ওভারেই ১০০ ছুঁই বাংলাদেশ। এরপর ১২ তম ওভারে এসে ওপেনিং জুটি ভাঙে ১০১ রানে। সেখান থেকে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ১৪৩ রানে। এ ম্যাচেও ফুটে উঠেছে ব্যাটারদের অসহায়ত্ব।
মিরপুরের চেনা কন্ডিশনে কিভাবে ব্যাট করতে হয় সেটাও যেন ভুল গেছে শান্ত-সাকিবরা। বাজে ব্যাটিংয়ে কথা স্বীকার করেছেন অধিনায়ক শান্তও। আশা করছেন পরের ম্যাচেই কামব্যাক করবে ব্যাটারা। তবে তিনি মানছেন এমন উইকেটে আরেকটু সাবধান থাকা উচিত ছিল ব্যাটারদের।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘তামিম ও সৌম্য যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমরা তাদের নিয়ে খুবই খুশি। উইকেট তেমন একটা ভালো ছিল না। তবে আমাদের আরেকটু সাবধানে ব্যাটিং করা উচিত ছিল। আশা করছি পরের ম্যাচেই কামব্যাক করব।’
ছোট লক্ষ্যেও ৫ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে কৃতীত্বটা বোলারদেরই। এ ম্যাচে ১০ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরেই ৪ উইকেট নেন সাকিব। শেষ ওভারে জোড়া উইকেট তুলে এনে দেন জয়। এদিকে আইপিএলে দারুণ সময় কাটিয়ে ফেরা মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে দেন ৩ উইকেট। যা দলের জয়ে ভূমিকা রেখে। যা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘পুরো সিরিজে আমাদের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। সাকিব দলে ফেরায় সবার আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়েছে। তাদের (বোলার) কাছে আমাদের প্রত্যাশা মূলত এমনই। আশা করছি তারা এটা চালিয়ে যাবে।’
